যশোরের মণিরামপুরে এক হেফজ মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক মাদ্রাসার ছাত্রকে মেরে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষার্থীর আক্রান্ত বাম চোখ

সূত্রে জানা যায় গত ২৮-০২-২০২২ ইং অরিফ হোসেন, বয়স ১৫-১৬ বছর,পিতা মো আয়ুব আলী,গ্রামঃ জোকা ডাকঃ ঝাপা থানাঃ মণিরামপুর জেলাঃ যশোর, সে পার্শ্ববর্তী শ্যামকুর ইউনিয়নে ঐ এলাকার বুজতলা নামক যায়গায় ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) নামক একটি হেফজখানায় পড়াশোনা করতো।

ঐদিন সন্ধার পর ঐ মাদ্রাসা হতে ফোন আসে তার বাবার কাছে তার ছেলের আহতের খরব,সাথে সাথে তার বাবা যেয়ে দেখে তাকে পড়া না পারার কারনে ওই মাদ্রাসার হাফিজ নামে এক শিক্ষক তাকে মেরে মারাত্মক ভাবে আহত করে। বিশেষ করে চোখ দিয়ে রক্ত করন হচ্ছে, তার বাবা তাকে সাথে সাথে যশোর এ একটি প্রাইভেট ক্লিনিক এ নিয়ে যায়।সেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ ছেলেটির অবস্থা খারাপ দেখে উন্নতর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে।

তাকে ০১-০৩-২২ইং রাতেই ঢাকায় ইস্পানি ইসলামি চক্ষু হাসপাতালে র্ভতি করা হয়।সেইদিনই দুই দফা অপারেশন করা হয় এবং জানা যায় ছেলেটি প্রানে বেঁচে গেলেও, সে আর কোন দিন একটি চোখ দিয়ে দেখতে পারবে না।এখন সে ১৬০ নং ওয়াডে র্ভতি, চিকিৎসা চলছে।তার বাবা গ্রামের সহজ সরল কৃষক ।তাকে ঐ মাদ্রাসার পরিচালক বিভিন্ন ভাবে বুঝাচ্ছে তিনি যেন এই ঘটনা পুলিশ বা মিডিয়া, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ছড়ায়।

ছেলেটির পিতা জানান মাদ্রাসার সেই পরিচালক তার সাথে শুধুমাত্র বিষয় টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তার সাথে ঢাকা পর্যন্ত চলে গেছে এবং সেইভাবে চেষ্টা করছে।কিন্তু আহত ছেলেটির বা তার বাবার সাথে থেকে তাদেরকে সমবেদনা জ্ঞাপন না করেই শুধুমাত্র বিষয়টি চেপে যাওয়ার কোথায় বারংবার বলে যাচ্ছেন।

ছেলেটির বাবা ও এলাকাবাসী দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান করেছেন। তারা আরো বলেন এইভাবে আর যেন কোন শিক্ষক কোন ছেলে বা মেয়ে শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করতে না পারে আপনারা এ বিষয় গুরুত্ব সহকারে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।যেনো সবার সহযোগিতায় আহত ছেলেটি বা অন্য সকল নির্যাতিত শিক্ষার্থী ভাইবোনেরা সঠিক বিচার পাই।আর যেনো কোনো শিক্ষার্থীকে এইভাবে নির্যাতন করে তার জীবন নষ্ট না হয়ে যায়।